ক্র্যাবনিউজ ডেস্ক
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে আসেননি সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়ে সময় চেয়ে কিমিটির কাছে আবেদন করেছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী, ওই বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌসী হিমেল জানান, চুল কাটার ঘটনার বিষয়ে রবিবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদাভাবে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্পন্ন না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে সাক্ষ্য প্রদানকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় কমিটির সদস্য সচিবসহ তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি আরও জানান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেছেন।
লায়লা ফেরদৌসী হিমেল আরও বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় শুধু চুল কাটার ঘটনা নয়, গত তিন বছরে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের দ্বারা বিভিন্নভাবে হওয়া নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরেন তার বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় আছেন।
এর আগে চুল কাটার ঘটনা তদন্ত করতে রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য লায়লা ফেরদৌসী হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।