● আবু হেনা রাসেল
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) যে দুর্ধর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল র্যাব।
গ্রেপ্তার জঙ্গি নেতা ইমদাদুল হক উজ্বল মাস্টার সংগঠনের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন বলে জানিয়েছে র্যাব।
সম্প্রতি ময়মনসিংহে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র্যাবের সাথে গোলাগুলির পর গ্রেপ্তার ৪ জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম জানতে পারে র্যাব। এরপর তার সন্ধানে রাজশাহী ও জামালাপুরে একাধিক অভিযান চালানো হয়।
এমন তথ্য জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ময়মনসিংহ অভিযানের পর আমরা যে দুর্ধর্ষ শীর্ষ জঙ্গি নেতার কথা বলেছিলাম, তাকে আজ গ্রেপ্তার করা হলো। তিনিই এই দুর্ধর্ষ জঙ্গি উজ্জ্বল মাস্টার। অনেক দিন ধরেই তাকে খুঁজছিল র্যাব।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি ময়মনসিংহে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় চারজন জঙ্গি আটকের পর তাদের তথ্যে রাজধানীর বসিলার এ ব্লকের ৪ রোড়ের একটি চারতলা বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বসিলার ওই বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর সকালে গণমাধ্যমকে পাঠানো র্যাবের বার্তায় একজনকে আটকের কথা জানানো হয়। অভিযান শেষে ওই জঙ্গির নাম ইমদাদুল হক উজ্বল মাস্টার বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ইমদাদুল হক উজ্বল মাস্টারের বাসা থেকে পিস্তল, গুলি, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও রাসায়ানিক দ্রব্য ও আনুমানিক তিন লাখ টাকা পাওয়া গেছে তার কক্ষে।
বাসাটিতে পরিবার নিয়ে ওই জঙ্গি থাকতেন কি না জানতে চাইলে র্যাব মুখপাত্র বলেন, তিনি বাসাটি ভাড়া নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র দেননি। চলতি মাসের ২ তারিখে বাসাটি ভাড়া নেন। তখন বলেছিলেন পরিবার নিয়ে বসবাস করবেন। প্রিন্টিং প্রেসে চাকরির কথা বলে এখানে উঠেছিলেন পাঁচ হাজার টাকা অগ্রীম দিয়ে।
মঈন বলেন, তিনি বাড়ির মালিককে বলেছিলেন, যখন পরিবার নিয়ে উঠবেন তখন পরিচয়পত্র জমা দেবেন। বুধবার ওই জঙ্গি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তবে কোথায় গিয়েছিলেন, তা ওই বাড়ির কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না।
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, আটক জঙ্গি জেএমবির উচ্চপর্যায়ের নেতা।