বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Cambrian

হাদিসুরের মরদেহ দেশে

spot_img
spot_img
spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় এসেছে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ। তার মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি সোমবার দুপুরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন । হাদিসুর বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।

হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘১২ দিন পর সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ভাইয়ার লাশ শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর সরাসরি নিয়ে সরাসরি গ্রামের বাড়িতে রওনা দেই।’ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে জলসীমায় নোঙর করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক-ক্রু নিয়ে ওখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) রাত ৯টা ২৫ মিনিট জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ফোরণে মারা যান জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জাহাজে আটকে থাকা বাকি ২৮ নাবিক-ক্রু।

এরপর টাগবোটের সাহায্যে তাদেরকে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তীরে আনা হয়। তাদের রাখা হয় ইউক্রেনের অলভিয়া এলাকার একটি বাংকারে। সেখান থেকে শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় সড়কপথে যাত্রা শুরু করেন। রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ২৮ নাবিক-ক্রু রোমানিয়ার একটি হোটেলে পৌঁছান।

গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিক-ক্রু দেশে ফিরেছেন। বুখারেস্ট থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এদিন দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা।

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ