নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আবুল কালাম আজাদ-এর পক্ষে তার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ-এর আদালত আগামী ২৩ জানুয়ারি (ধার্য তারিখ) পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুদক শাখার কর্মকর্তা জুলফিকার আলী এই গণমাধ্যকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন আবুল কালাম আজাদ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক-এর উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আবুল কালাম আজাদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারি পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
চার্জশিটে যা আছে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসম-এর ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।