নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় সাতক্ষীরাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো – ব ১৪-৯৫১৪ ) থেকে প্রায় ৬ দশমিক ৭২৮ কেজি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তবে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলছে না তারা। জানাচ্ছে না স্বর্ণের উৎস। নাম বলছে না মূল হোতার।
গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ইফতেখার আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে একটি টিম এসব স্বর্ণ আটক করে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দারা।
ওই স্বর্ণ ধরা পড়ার পরপরই এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্র্যাবনিউজে ‘সাতক্ষীরাগামী বাস থেকে চার কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে এই চোরাচালান কারবারি চক্রের মুলহোতারা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েগেছে। কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা দায়ের এবং আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থার মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দা টীম সোহাগ পরিবহনের সম্ভাব্য গমন পথের আশে-পাশে গোপনে অবস্থান নেন। গাড়িটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সংলগ্ন ট্রাফিক সিগনাল এলাকায় পৌছালে কাস্টমস গোয়েন্দা টিম দীর্ঘক্ষণ তল্লাশী শেষে আনুমানিক রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে সোহাগ পরিবহন গাড়িটির চালকের আসনের নীচে সুকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৫৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস গোয়েন্দারা। যার ওজন ৬.৭২৮ কেজি (প্রায়), যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রায়।
এঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া পৌরসভার গতখালী গ্রামের মো. শাহাজাননের ছেলে মো. শাহাদাৎ হোসেন (ড্রাইভার); একি এলাকার কানিপাড়া গ্রামের মো. ইউসুফ খাঁ’র ছেলে মো. ইব্রাহীম (হেল্পার), যশোর জেলার কোতোয়ালী থানার লেবুতলা গ্রামের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তবিবর রহমানের ছেলে মো. তাইকুল ইসলাম (সুপারভাইজার)।