নিজস্ব প্রতিবেদক
পুরান ঢাকার লালবাগের হরনাথ ঘোষ রোডের ৫৯ নম্বর বাড়ির সাত তলা ভবনের ৬ তলা থেকে ‘পড়ে’ নাসির উদ্দিন বাদল (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ক্র্যাবনিউজকে জানান, তাঁরা লালবাগের হরনাথ ঘোষ রোডের ৫৯ নম্বর বাড়ির ষষ্ঠতলায় থাকেন। বাড়িটি তাঁদের নিজেদের। বাবা আগে চামড়ার ব্যবসা করতেন, গত ১০-১২ বছর ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ জন্য তাঁকে বেশির ভাগ সময়ই রুমের ভেতরে আটকে রাখা হতো। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও করানো হচ্ছিল।
মিজান আরও জানান, দরজা বন্ধ থাকায় আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন (জানালার কোন গ্রীল ছলনা) । সেখান থেকেই তিনি ভবনটির তৃতীয় তলার কার্রনিসে পড়ে গুরুতর আঘাত পান। ওই সময়ও আমাদের বাবা জীবিত ছিলেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিজান আরো বলেন, ঘটনার সময় আমারা বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে ছিলাম। পাশের বাড়ির এক আন্টি ( তিনি তৃতীয় তলায় থাকেন) উনি বিকট শব্দ পান । সাথে সাথে চিৎকার করে ডাক দেন। উনার চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। জানালা দিয়ে দেখি আমার বাবা তৃতীয়তলার কারনিসে পড়ে আছে। পরে আমি ও আমার ভাই ফয়সাল সেখানে যাই। স্হানীয় লোকদের সহায়তা নিয়ে আমার বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। লাশ ময়না তদন্তর জন্য মিডফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পড়ানো হয়েছে।
এদিকে এঘটনায় লালবাগ থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। মৃত বাদলের ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকরতা একই থানার এসআই অলোক কুমার বিশ্বাস ক্র্যাবনিউজকে বলেন, নাসির উদ্দিন বাদল দীর্ঘদিন ধরে মানষিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেজন্য পরিবারের লোকজন প্রায় ঘরের মধো বন্ধ করে রাখতেন। তাকে উন্নত চিকিত্সা দেয়া হয়েছিল। এতেও তিনি সুস্হ ছিলেন না বলে তিনি জানান।