নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আজ বুধবার তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফেলে রায় ‘ধর্ষকরা’। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এক পথচারী।
ওই ছাত্রীর ভাষ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন। লালবাগের কেল্লার মোড় পার হওয়ার সময় আল আমিন ও শুভ নামে দুজন তাকে মুখে রুমাল চেপে ধরলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন। পর চেতনা ফিরলে দেখতে পান, একটি পরিত্যক্ত ভবনের ভেতরে তিনি। ভবনে তারা ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। ভবনটি কোন এলাকায়, তা চিনতে পারেননি ওই ছাত্রী।
ছাত্রীর অভিযোগ, চেতনা ফিরলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাছে কাকুতি–মিনতি করেন। কিন্তু তারা মারধর ও ধর্ষণ করে। এভাবে চার দিন আটকে রেখে তাকে দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ বুধবার বিকেলে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেখে পালিয়ে যান ওই দুজন। সেখান থেকে এক নারী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
শুভ ও আল আমিন তার পূর্বপরিচিত বলে জানান ছাত্রী। তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে শুভ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় ফোনে উত্ত্যক্ত করা করে।
এদিকে ওই খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুল হক। তিনি রাতে বলেন, ‘মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে। তবে অভিযুক্ত শুভ ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’