নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুরের ইসলামপুর কাঠমা গ্রামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্দি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় কারাগারে থাকা অভিযুক্ত শিক্ষক সুরুজ্জামান ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। ধর্ষক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেনা স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয়ভাবে সালিম বিচার কওের কোনো সুরাহা না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ধর্ষিতার পরিবার।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুপুরে প্রতিবেশি লম্পট শিক্ষক সুরুজ্জামান বাসায় একা পেয়ে জোর কওে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এসময় কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয় সে। প্রথমে এ বিষয়ে কিছু না বললেও পরবর্তীতে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্দি নারীর শারিরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তার মা এ বিষয়ে জানতে চান। পরে মাকে ঘটনা খুলে বললে তিনি পরিবারের অন্য স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু ধর্ষক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ করতেও ভয় পান তারা। এক পর্যায়ে স্বজনদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। গ্রেপ্তারও হয় ধর্ষক সুরুজ্জামান। কিন্তু মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন উপায়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে ভুক্তভোগি পরিবারকে।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর ওই মেয়েটা একটা মৃত সন্তান প্রসব করে। পরে ওই মৃত সন্তান তার মা ও ধর্ষিতার মায়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনো প্রতিবেদন না আসায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া যাচ্ছেনা। তবে প্রতিবেদন পেলে শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।