নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর দুরুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচারে নেমেছে। ওই চক্রটি গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওই এলাকার এক নারী গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে গিয়াসউদ্দিন কারো বসতবাড়ি দখল করেননি। এ নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে তার বাকবিতন্ডাও হয়। গত শুক্রবার বিকেলে উম্মে সালমা রানু নামের ওই নারী রাম দা নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের লোকজনের উপর হামলা চালায়। পরে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি রানুর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয় রানুকে। তবে রানুর লোকজন গিয়াস উদ্দিনকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
দারুস সালাম থানা পুলিশের দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘উম্মে সালমা রানু হরিরামপুর বাসার সামনে গিয়াস উদ্দিন নামে লটকানো সাইনবোর্ড অপসারন করে। উক্ত লটকানো সাইনবোর্ড অপসারন করাকে কেন্দ্র করে গিয়াস উদ্দিনের ম্যানেজার ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করাসহ উত্তেজিত হইয়া মারমুখী আচারন করে এবং ধারালো হাসুয়া নিয়ে খুন-জখমসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। উক্ত আসামীকে তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার ব্যতীত খুন-জখমসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা অথবা যে কোন প্রকার ধর্তব্য অপরাধ সহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনা কোনভাইে নিবৃত করা সম্ভব হচ্ছিল না। যার কারনে উপরোক্ত যে কোন প্রকার ধর্তব্য অপরাধ সহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনা নিবারন কল্পে আমি সঙ্গীয় এএসআই (নিঃ)/ মোঃ মাসুদ হোসেন, কং/১৪৩৬৪ রফিকুল ইসলাম, কং/১৫২৪২ আসিফ ইকবাল, নারী কর/২৭০০৩ মোছাঃ শাপলা খাতুনদের সহযোগিতায় তাৎক্ষনিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনাসহ ধর্তব্য অপরাধ প্রতিরোধ কল্পে তাহাকে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করি’।
এ বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে একটি মহল। মূলত তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করাই ওই মহলের উদ্দেশ্য। তিনি আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার কাছে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।